নিহত হোসেন আহমেদ ওরফে হোসেন মাঝি। ছবি-সংগৃহীত।

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসার এক ‘শীর্ষ কমান্ডার’ নিহত হয়েছেন।

সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুলি, অস্ত্র, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড।

এপিবিএন বলেছে, নিহত হোসেন আহমেদ ওরফে হোসেন মাঝি (৪১) মিয়ানমারের সশস্ত্র দল আরসার শীর্ষ কমান্ডার। তাঁর বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা আছে।

গত শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলিতে আরসার পাঁচ সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। তাঁদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি জব্দ করা হয়।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ছৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় মিয়ানমারের সশস্ত্র দল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি- আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন- আরএসও’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ইদানীং বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে এপিবিএন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, “আজ ভোরে উখিয়ার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এপিবিএনের টহল দলকে লক্ষ্য করে আরসার সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে তারাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

একপর্যায়ে আরসা সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোসেন মাঝির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ সময় আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি বন্দুক, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এপিবিএনের এডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্য সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।