কক্সবাজারের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র মিজানুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে অপহৃত ৪ শিক্ষার্থীই উদ্ধার হলো। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের গভীর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়।

অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নুর সালাম, রনজন বিবি, একই ক্যাম্পের মোচনী পাড়ার সাদ্দাম মিয়া, লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ জাবেদ।

র‌্যাব জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম অপহরণ ঘটনায় সরাসরি জড়িত এবং মো. জাবেদ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তবে অপহরণের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ায় ইব্রাহিম এখনো আটক হননি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় র‍্যাব ও এপিবিএন পৃথক অভিযান চালিয়ে অপহৃত অপর তিনজন ছাত্র জাহিদুল ইসলাম মামুন, মিজানুর রহমান নয়ন ও মোহাম্মদ কায়ছারকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া সবাই উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর সকালে পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের কথা বলে এই ৪ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের দুই রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে। পরে ওই শিক্ষার্থীদের টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অজ্ঞাত স্থানে জিম্মি করে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।