পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের ভুয়া রসিদের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় আসামির কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, তিনটি সিম এবং ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম কুমিল্লার পাঁচথুবি এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের হোতা মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওমর ফারুক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্ট ব্যবসায়ী। তাঁর ভাগ্নে নুরউদ্দিনকে দিয়ে নোয়াখালীতে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের কাজ করেন। গত ১২ ডিসেম্বর একজন কাতারপ্রবাসী নিজেকে মোবারক পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নুরউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কাতারপ্রবাসী মোবারক জানান, কাতার থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মাধ্যমে বেশ কিছু টাকা পাঠাবেন। টাকাগুলো বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বজনের মোবাইল নম্বরে পাঠাতে হবে।

কাতার থেকে যথারীতি মোবারক চার লাখ ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জমার কপি দিয়ে দেন এবং দ্রুত টাকাগুলো তাঁর স্বজনদের নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে পাঠাতে বলেন। ব্যাংকে লেনদেনের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় রসিদগুলো জমা দিতে পারেননি নুরউদ্দিন। রসিদগুলো একজন ব্যাংকারকে দেখালে তিনি সঠিক বলে জানান। তাই ব্যাংক থেকে উত্তোলন না করে সমপরিমাণ টাকা বিকাশ, নগদ ও রকেটে পরিশোধ করে দেন। পরের দিন ব্যাংকে গিয়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের রসিদ জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের সময় জানতে পারেন, কাতার থেকে কোনো টাকা পাঠানো হয়নি এবং রসিদগুলো ভুয়া।

প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগ করেন তিনি। পরে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম অনুসন্ধান করে এ চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন আসামি রাসেল। তাঁর অপর সহযোগী রিপন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। বাড্ডা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক দিনের রিমান্ডে আছেন রাসেল।