প্রতীকী ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে সেখানে সম্প্রচারিত এক্সক্লুসিভ ওয়েব কনটেন্ট পাইরেসির মাধ্যমে স্ট্রিমিং করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ আত্মসাৎকারী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড ইনভেস্টিগেশন টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাদমান সাকিব, মো. এজাজ আহমেদ ওরফে আকিব, মো. রাবিব হোসেন ও রাহাত খান। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি হার্ড ডিস্ক, চারটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামানের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার রাজধানীর আদাবর ও মতিঝিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ই-ফ্রড ইনভেস্টিগেশন টিম।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে ই-ফ্রড ইনভেস্টিগেশন টিম বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হইচই টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেড, নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম ভিডিও এবং ডিজনি হটস্টারে (যেগুলো বাংলাদেশে নিবন্ধিত বৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান) সম্প্রচারিত এক্সক্লুসিভ ওয়েব কনটেন্ট পাইরেসির মাধ্যমে স্ট্রিমিং করে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, প্রতারক চক্র গত ছয় মাসে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তাদের সহযোগী ও পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযুক্তদের অবৈধ ওটিটি ‘ওয়ান ক্লিক্স’-এর সার্ভার বিশেষ প্রক্রিয়ায় ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।