ওয়াশিংটন ডিসিতে ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। ছবি: বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ মে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের।

বিমানবন্দরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান। ওয়াশিংটন ডিসিতে সাত দিনের সফর শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানি হিসেবে তৃতীয় চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের জন্য ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।

এর আগে ২৫ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে একই দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে তাঁর ১৫ দিনের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।

জাপানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানানো হয় এবং বিমানবন্দরে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তাঁর জাপান সফরকালে ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্কসংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি, সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ২৬ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে, তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তাঁর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

টোকিও সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক এবং জাইকা, জেট্রো, জেইবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং একজন জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সাথেও বৈঠক করেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, মাননীয় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মাননীয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা জাপান সফরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।