এপিবিএনের হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৬টি স্বর্ণের বার, ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ১ হাজার ৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন দুবাইপ্রবাসী
জুয়েল এবং বিমানবন্দরের হেল্পলাইনের কর্মী আজাদ।

জব্দ করা স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন জুয়েল। বিমানবন্দরে অবতরণের পর ফোনে যোগাযোগ করে হেল্পলাইনের কর্মী আমজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের ওপর নজরদারি শুরু করে এপিবিএনের গোয়েন্দারা।

তিনি আরও জানান, গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পর দুজনকে তল্লাশি করা হয়। এ সময় আমজাদের কাছে থাকা একটি পাওয়ার ব্যাংকে কৌশলে লুকানো ১০টি স্বর্ণের বার এবং পকেট থেকে চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। দুবাইপ্রবাসী জুয়েলের কাছ থেকে দুটি বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি জুয়েলের মাধ্যমে এসব স্বর্ণ পাচার করেন। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ঢাকায় এসব স্বর্ণ পৌঁছানোর চুক্তি হয় তাঁদের মধ্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমানবন্দরের হেল্পলাইন কর্মী আমজাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বর্ণ পাচারের পরিকল্পনা করেন। এর আগেও একইভাবে স্বর্ণ পাচার করেছেন তাঁরা। সপ্তাহখানেক আগে একটি স্বর্ণের চালান পাচার করে ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন আজাদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।