সারা দেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হবে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ ফাইজার পেয়েছিল, তাদের জন্য। খবর বিডিনিউজের।

সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সিটি কলেজের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেডিকেল অফিসারদের ১২ জানুয়ারি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হকের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সব পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘এ ক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধু স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

গত ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৬২ জন পেয়েছেন ফাইজারের টিকা। এ ছাড়া ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩০ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ২২ হাজার ৭৩৪ জন মডার্নার টিকা পেয়েছেন বুস্টার ডোজ হিসেবে।