গ্রেপ্তার দুই গাড়ি চোরের কাছ থেকে উদ্ধার করা সরঞ্জাম।

রাজধানীর উত্তরা থেকে চুরি হওয়া প্রাইভেট কার ‍উদ্ধারসহ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. জিতু মিয়া ও মো. শহীদ মিয়া।

অভিযানে নেতৃত্ব দে য়া উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ১২ আগস্ট দুপুরে উত্তরা  পূর্ব থানার ৪ নম্বর সেক্টরের হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কার চুরি হয়। এ সংক্রান্তে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।

তিনি জানান, মামলাটি তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় চোরদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সোমবার (১৫ আগস্ট) মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ইমরুল হোসেনসহ থানার একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে জিতু ও শহীদকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩টি প্লাইয়ার্স, ৪টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি সেলাই রেঞ্চ, ১টি টেস্টার, ১টি গ্যাস সুইচ, ১১টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম, ৫টি মোবাইল, ২টি ব্যাগ ও ২টি গাড়ির নম্বরপ্লেট উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা থেকে চোরাই প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গত ১২ আগস্ট উত্তরা এলাকা থেকে প্রাইভেট কারটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাহুবল থানা এলাকায় এক নারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ভিকটিম। ওই সড়ক দুর্ঘটনায় বাহুবল থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়। দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেট কারটি শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ জব্দ করে।

তিনি বলেন, সিডিএমএস পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত জিতুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৭টি চুরির মামলা রয়েছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।