পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

পাবনার ঈশ্বরদী থানার পুলিশ চাঞ্চল্যকর রিকশাচালক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আনোয়ারসহ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে ।

জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি রাত অনুমানিক সোয়া ৮টার সময় ঈশ্বরদী থানাধীন পশ্চিম টেংরী ঈশ্বরদী-লালপুর সড়কে আলীর মোটরসাইকেল গ্যারেজের সামনে একটি ভটভটি ও পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপের গ্লাস ভেঙে যায়। এই গ্লাসের ক্ষতিপূরণ আদায়কে কেন্দ্র করে আলীর গ্যারেজের কর্মচারী পারভেজ,পশ্চিমটেংরী এলাকার রকি,মামুন ,সুমনসহ আরো লোকজনের সঙ্গে আসামি আনোয়ারের শ্যালক সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পিকআপে থাকা সুজন তার ভগ্নিপতি আনোয়ারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। তখন আনোয়ার, ইব্রাহিম,সাকিবসহ আরো ৪/৫ জন আলীর গ্যারেজের সামনে আসেন। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ আদায়কে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হলে আনোয়ারের গুলিতে রিকশাচালক মামুন মারা যান এবং রকি ও সুমন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

এই মামলার প্রেক্ষিতে পাবনা জেলার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনায় ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ,
মো. হাদিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি
আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। এরপর পাকশি এলাকা থেকে আসামি ইব্রাহিমকে (২৬) এবং রাজশাহী জেলার চারঘাট থানা এলাকা থেকে আসামি সাকিবুর ইসলাম সাকিবকে (১৭) গ্রেপ্তার করে।

পরে আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্য মতে ঈশ্বরদী থানাধীন শৈলপাড়া (বার কোয়ার্টার্স) এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল (৭.৬৫ এমএম) এবং ৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে গ্রেপ্তার আসামি ইব্রাহিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামি আনোয়ারের বিরুদ্ধে মারামারি,মাদক, চুরিসহ একাধিক মামলা আছে।