ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপন উপলক্ষে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। খবর ডিএমপি নিউজের।

কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকার সব বিপণিবিতান, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন এবং পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) এর সই করা এক চিঠিতে বুধবার (৬ জুলাই) ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, গত ঈদুল ফিতরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছি।

ডিএমপির জনবলস্বল্পতা থাকার পরেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বাড়ানোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা-সচেতনতাবোধ তৈরি হয়, তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব।

সেই লক্ষ্য সামনে রেখে আসন্ন ঈদে আপনার প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ কর্তৃক নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো:

১. নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। উক্ত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারকির জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক তদারকি কমিটি করে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে উক্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।

২. দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।

৩. প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।

৪. প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যেন তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা তদারক করতে পারেন।

৫. সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণ করা ভিডিও হার্ডডিস্কে ঠিকমতো রেকর্ড হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা।

৬. দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল এবং ল্যান্ডফোনের নম্বর রাখা, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের শঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।