ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৪০ দিন। এই সময়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৪ হাজার ৫০০ জন। হতাহতদের প্রায় সবাই গাজার বাসিন্দা।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৯ হাজার ৭৮২ জন এবং পশ্চিম তীরে এই সময়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৯৫ জন। সব মিলিয়ে ফিলিস্তিনের দুই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭ জন।

গাজায় নিহতদের মধ্যে ১২ হাজার ৩০০ জনই শিশু এবং ৮ হাজার ৪০০ জন নারী। এর বাইরে গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে নিখোঁজ থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে নিহত ৩৯৫ জনের মধ্যে ১০৫ জনই শিশু।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহত লোকের সংখ্যা ৭০ হাজার ৪৩। আহতদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৬৩ জন শিশু ও ৬ হাজার ৩২৭ জন নারী। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে আহতের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৪৫০। অর্থাৎ ৭ অক্টোবরের পর ১৪০ দিনে ফিলিস্তিনি দুই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৯৩ জন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত ১৪০ দিনে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৭০। এর সঙ্গে নিখোঁজ ৭ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে যোগ করলে এই সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে, গাজা ও পশ্চিম তীরে এমন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও অঞ্চল দুটিতে ইসরায়েলি হামলা ও অভিযান থেমে নেই। আন্তর্জাতিক সব আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলি সেনারা ভূখণ্ড দুটিতে মারণ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে এবং হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি খুব কাছাকাছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশা করি, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে।’ উল্লেখ্য, পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত সপ্তাহান্তে বলতে শনি-রোববারকে বোঝানো হয়।

এ সময় বাইডেন বলেন, তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান তাঁকে বলেছেন, ‘আমরা (যুদ্ধবিরতির) খুবই কাছাকাছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরাই কাছাকাছি, খুবই কাছাকাছি, তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’