পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ তাঁর দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। ইমরানের গ্রেপ্তারকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অবৈধ’ বলার এক দিন পর তাঁর জামিন মঞ্জুর হলো। খবর আজকের পত্রিকার।

আজ নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর বেলা ১টায় ইমরানের আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানি শুরু হয়। এ সময় ইমরানের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। বিচারপতি মাইনগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।

আজকের জামিন আবেদনের শুনানির সময় আদালত ইমরানের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, গ্রেপ্তারের পর ইমরানকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে ইমরানের আইনজীবী হারিস না সূচক উত্তরে দেন।

আদালত ইমরানের জামিন মঞ্জুর করার পর এনএবির কৌঁসুলি ও ইমরানের আইনজীবীদের পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী শুনানিতে ইমরানের জামিন বাতিল বা মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলেও জানায় আদালত।

এ সময় ৯ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ইমরানের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া অন্য সব মামলায় আদালত ইমরানকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও জানায় আদালত। ইমরানের জামিনের খবর পেয়ে পিটিআইয়ের সমর্থকেরা সড়কে উল্লাস ও আনন্দ মিছিল করেছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের সময় মাথায় আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খান। ইসলামাবাদ আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সংলাপে তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে গ্রেপ্তারের পর এনএবি কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

ইমরান খান বলেন, ‘আমি এনএবি কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমার স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাঁরা আমাকে টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল।’

পাকিস্তানে গত কয়েক দিনের সহিংস বিক্ষোভ সম্পর্কে ইমরান বলেন, ‘এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে ছিল না। আমি তো কাস্টডিতে ছিলাম। এতে আমার দায় থাকে কীভাবে? তবে আমি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলাম আমাকে গ্রেপ্তার করলে এমন কিছু হতে পারে।’

পাকিস্তানের ইন্ডিপেনডেন্ট উর্দু টেলিভিশনকে ইমরান বলেন, ‘আমি হাইকোর্টে বসেছিলাম। আমাকে গ্রেপ্তারের কোনো আইনসম্মত কারণ ছিল না। আমাকে মূলত অপহরণ করা হয়েছিল। আর আমাকে গ্রেপ্তার ওয়ারেন্ট দেখিয়েছে হাজতে নেওয়ার পর। এসব অসভ্যদের আইন–কানুন আর সেনাবাহিনীর অপহরণ। আজ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইন কোথায়?’