সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে নরসংদী জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার এবং দুটি বন্দুক ও ১০টি গুলি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম জানান, রায়পুরা থানাধীন চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

আসামিরা হলেন রায়পুরা থানা এলাকার রাসেল ওরফে এবাদুল্লাহ (৩৫) ও রমজান (২৮)। তাঁদের মধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা এবং রমজানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তের গুলিত আহন হন ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক। পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. মাহফুজা আক্তার ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে রায়পুরা থানা-পুলিশের পাশাপাশি মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে মানিককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৩ ডিসেম্বর একটি সভা শেষে ফেরার পথে মানিককে গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করা হয়েছে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।