সেমিনারে বক্তব্য রাখেন (বাঁ থেকে) মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ড. রায়হান রশিদ, স্টাডি সার্কেল লন্ডন-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কর্মসংস্থান ও সামাজিক বিষয় সংক্রান্ত বাজেট নিয়ন্ত্রণ কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান থমাস জেডিহস্কি এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি ও লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‌‌‘স্টাডি সার্কেল লন্ডন‌’-এর যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ নভেম্বর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একটি কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের প্রধান আয়োজক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি এবং আয়োজক ‘স্টাডি সার্কেল লন্ডন’-এর যৌথ আয়োজনে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কর্মসংস্থান ও সামাজিক বিষয়সংক্রান্ত বাজেট নিয়ন্ত্রণ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান থমাস জেডিহস্কি, স্টাডি সার্কেল লন্ডন-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, বাংলাদেশের সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ও মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী ড. রায়হান রশিদ।

সেখানে বক্তারা কৃষির ওপর পূর্ণ নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পরিপূর্ণ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং গঠনমূলক আলোচনার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়।

সম্মেলনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এ দেশের অর্থনীতি মাত্র দুই দশকে আট গুণ বেড়েছে। ২০০০ সালের পর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে পোশাক খাতের কারণে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য থমাস জেডিহস্কি বলেন, বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে, তা অনন্য। এই বিশাল সাফল্য উদ্‌যাপন করা উচিত।
সম্মেলনে বাংলাদেশের সমালোচনা না করে এ দেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব দৃঢ় করার ওপরও জোর দেওয়া হয়। সম্মেলনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় এবং আশা প্রকাশ করা হয়, এতে গণতন্ত্রের জয় হবে। আলোচকেরা বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়েছে, তা দৃঢ় সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার কারণেই।

সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতির চাবিকাঠি হিসেবে পোশাকশিল্পের অবদানের কথা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ২০০০ সালে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। মাত্র দুই বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় আট গুণ।
সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও গঠনমূলক সংলাপের প্রয়োজনীয়তার বিষয় তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য মেরগুলহো এসঅ্যান্ডডির উপদেষ্টা সারাহ বুগেজা, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য সারানজোবা রেনিউর উপদেষ্টা ভেরোনিকা হোরুউডোভা, ইপি বহির্বিভাগের কর্মকর্তা লোটে পিটার্স, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফেনেকের সেক্রেটারি ডায়ানা চেজোভা, সাবেক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য পাওলো কাসাকা, ইন্টা সচিবালয়ের কর্মকর্তা পালোমা সার্ভিন, ফেলিক্স নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিভাগের উপদেষ্টা সারা মার্কেস, ইপি অর্থনৈতিক পলিসি বিভাগের কর্মকর্তা জর্ডান ডি বোনো, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য গ্রুপ সচিবালয়ের কর্মকর্তা সাবরিনা নেজেম, ইপি মানবাধিকার বিভাগের অফিসার সিমোনা বিশকোস্কা, ইউরোপিয়ান রিপোর্টার ফোরামের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক নিক পাওয়েল, ইপি আউটরিচ বিভাগের কর্মকর্তা আলেক্সিয়া রুস্কা মারকোরিস, ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহাবুব হাসান সালেহ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বিভাগের অফিসার নাদিয়া সাবাত্তিনি, ইসিআর পলিসি’র উপদেষ্টা মিগুয়েল টোডেলানো, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিভাগের কর্মকর্তা ম্যাগি হুইন, ইপিপি সচিবালয়ের কর্মকর্তা মার্ক ভ্যান ক্রানেনবার্গ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা জুজান্না হেবডজিনস্কা, ইপিপি প্রেস বিভাগের কর্মকর্তা জ্যান ওসুচ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বিভাগের প্রধান নিকোলো রিনালডি, উইলেম ভ্যান ডের গিস্ট, তাজিন মাহনাজ, বেলজিয়ান রাজনীতিবিদ ম্যাক্সিম ভ্যানডেকারকহোভ ও আনা আবদি, প্রকৌশলী হাসনাত মিয়া, শহিদুল ইসলাম শহীদ, আনসার আলী, গোলাম জিলানী, স্টাডি সার্কেল লন্ডনের সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, সোহেল খান, ডা. সায়মা মোস্তফা, ঈসমাইল খান প্রমুখ।
বিজ্ঞপ্তি।