৫০ বছরের বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্ব উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবি: বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য তুলে ধরেছে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক ঋণদাতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, ‌‘আমি আশা করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের উৎসাহব্যঞ্জক যাত্রায় বিশ্বব্যাংক সঙ্গে থাকবে। আসুন, আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যৌথ আস্থার চেতনায় একসঙ্গে কাজ করি।’

তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্ব উপলক্ষে গতকাল (১ মে) আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। এরপর তাঁরা প্রদর্শনীর কিছু অংশ ঘুরে দেখেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা লোকদের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাংলাদেশকে একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ভূমিতে পরিণত করার জন্য আমাদের সরকারের সংকল্পের প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা এবং আমরা এগুলো কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।’

৫০ বছরের বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্ব উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। ছবি: বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন, এ ফটো প্রদর্শনী একসঙ্গে কী অর্জিত হয়েছে এবং কী কাজ রয়ে গেছে, তা স্মরণ করিয়ে দেবে। প্রদর্শনীটি সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুস্থ মানুষের মধ্যে যে ধরনের হাসি দেখতে চেয়েছিলেন, এ প্রদর্শনীতে তা প্রতিফলিত হচ্ছে।’

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে পৌঁছালে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এবং তাঁর এসএআর ভিপি মার্টিন রাইসার ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।