ক্ষমতা দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তালেবান এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের সম্ভাব্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তুলনামূলক স্বল্প পরিচিত এক তালেবান নেতা। খবর প্রথম আলোর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানের এই নেতার নাম মোল্লা হাসান আখুন্দ। তাঁকে তালেবানের একজন গড়পড়তা নেতা হিসেবে দেখা হয়। তবে জাতিসংঘের সন্ত্রাসীর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।

কাবুল দখলের পর তালেবান বলেছিল, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগের পর তারা সরকার গঠন করবে। ক্ষমতা দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তালেবান এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো সরকার গঠন করতে পারেনি।

তালেবানের ভেতরে বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনে বিলম্বের মূলে রয়েছে তালেবানের মধ্যকার তিনটি গোষ্ঠীর মতভেদ। এগুলো হলো তালেবানের দোহা ইউনিট, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও কান্দাহারভিত্তিক গোষ্ঠী।

এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সে অনুযায়ী নতুন কাঠামোয় তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ‘সর্বোচ্চ নেতা’ হতে পারেন। তাঁর ডেপুটি হতে পারেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার ও মোল্লা ইয়াকুব।

মোল্লা হাসান আখুন্দ হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তালেবানের আগের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিরাজ হাক্কানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা আবার তালেবানের হাতে যায়। স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট রাতে কাবুল ছাড়ে শেষ মার্কিন সেনা। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।