আন্তজেলা গরুচোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়ে ব্রিফিংয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ছবি: পুলিশ নিউজ

শেরপুরের শ্রীবরদী থানার অভিযানে আন্তজেলা গরুচোর চক্রের আট সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চোরাইকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান।

শেরপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বুধবার ব্র্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এসপি মো. কামরুজ্জামান, বিপিএম। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে শ্রীবরদী থানাধীন পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে আবদুল মমিনের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে চার গাভীও চারটি বাছুর ট্রাকে ওঠাচ্ছিল চোর চক্র। ওই সময় আবদুল মমিনের ভাতিজা রফিকুল ইসলাম চিৎকার করলে চোর চক্র ট্রাক নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আবদুল মমিন ১৯ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী থানায় মামলা করলে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। এর ধারাবাহিকতায় শ্রীবরদী থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার টুপকারচর গ্রাম থেকে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি কামরুজ্জামান জানান, হাবিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে মুকুল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মুকুলের তথ্য অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর দুপুরে গাজীপুরের সালনা থেকে মো. সম্রাট (২৫), মো. জীবন (২৫), রাশেদুল ওরফে আসাদুল (৩২), সুজন মিয়া (২৮), মো. রইছ উদ্দিন (৩৮) ও আমিন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

শেরপুর জেলা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা। ছবি: পুলিশ নিউজ

তিনি আরও জানান, গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী সালনা এলাকায় গরু চোরাইকাজে ব্যবহৃত পিকআপভ্যান উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশের ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, চোরাই গরুগুলো ঢাকার তুরাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকার ধৌরে খাইরুল ইসলামের (৩৮) কাছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার করে গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

শেরপুর জেলা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া পিকআপভ্যান। ছবি: পুলিশ নিউজ

এতে আরও জানানো হয়, আসামি সুজন মিয়া ওরফে সুজন মোল্লা এবং রাশেদুল ওরফে আসাদুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের মধ্যে সম্রাট, জীবন, মুকুল ও আমিন মিয়াকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।