ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)-এর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত আইজিপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ) মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার, পিপিএম (বার) এবং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (গুলশান) মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করেন বাঙালি পুলিশ সদস্যরা। সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেন এবং ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের উত্তরাধিকারী বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা সেবার সুমহান ব্রত নিয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

জঙ্গিবাদ দমনসহ দেশের প্রতিটি সংকটে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা দেশপ্রেমের দৃপ্ত শপথে বলীয়ান হয়ে কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগসহ সব ধরনের বিনিয়োগকারী বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আদর্শ স্থান বিবেচনা করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে নয়, বরং বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং মুক্তিযুদ্ধের সত্য ও সঠিক ইতিহাসের আলোকে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, মহান স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের সূচনাকারী গর্বিত পুলিশ বাহিনীর প্রধান আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে একটি দলের মহাসচিব ও দায়িত্বশীল নেতারা বিভিন্ন সমাবেশ এবং গণমাধ্যমে আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক, বিভ্রান্তিকর ও বিব্রতকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা পরিকল্পিত, অশোভনীয় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুলিশের মতো পেশাদার বাহিনী সম্পর্কে এই ধরনের হুমকি প্রদানপূর্বক বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেওয়া থেকে ওই রাজনৈতিক নেতারা ভবিষ্যতে বিরত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আইনসঙ্গত সব কাজে পুলিশের প্রতি তাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন বজায় রাখবেন বলে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।