পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া মো. ইয়াসিন সরকার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি দল গোপন সংবাদ ও নিজস্ব নজরদারির ভিত্তিতে সোমবার রাত আটটার দিকে ডিএমপির ভাটারা থানাধীন কুড়িল কাজীবাড়ি জামে মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যের নাম মো. ইয়াসিন সরকার (২৮)। তাঁর বাবার নাম মো. মিজানুর রহমান, মায়ের নাম মোছা. রেনু আক্তার, গ্রাম- গোবিন্দপুর, থানা- কসবা, জেলা- ব্রাক্ষণবাড়িয়া।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট তাঁর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি দুবাইয়ের সিম কার্ড, পাঁচটি ফটোকপি বই, কিছু দিরহাম (দুবাইয়ের মুদ্রা) ও টাকা জব্দ করেছে।

গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন সরকার আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা দেশ থেকে চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে যেকোনো মূল্যে কথিত ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছিলেন। তিনি অনলাইনে তাঁর সহযোগী অন্যান্য আইডির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জিহাদ এবং রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করতেন। আসামি ও তাঁর অন্য সহযোগীরা ফেসবুক আইডি, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, জনমনে ত্রাস, ভীতি, দেশে অস্থিরতা, সাইবার স্পেসের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করে আসছিলেন। আসামির ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই ফেসবুক আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদী মতবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে অন্যদের আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতেন।

ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ডিএমপির ভাটার থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।