প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ। আসামিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার) জানান, গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলেন তৈয়ব আলী, মো. মিলন সরদার, মোছা. রীমা আক্তার হ্যাপি, মো. মনির হোসেন ও বিপুল দেবনাথ।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়্যারলেস সেট, একটি হ্যান্ডকাফ, ২৩ হাজার টাকা এবং লুণ্ঠিত ১ কেজি ৩৬৩ গ্রাম স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, যেসব বিদেশফেরত প্রবাসী শ্রমিক বৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসেন, তাদের টার্গেট করে একটি চক্র ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। ভোর রাতকে সাধারণত তারা ডাকাতির জন্য বেছে নেয়। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে গাড়ি নিয়ে অবস্থান করে। দুবাইফেরত প্রবাসী শ্রমিকেরা যাঁরা স্বর্ণালংকার নিয়ে আসেন, তাঁদের টার্গেট করে। গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নেয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের কাছে থাকা বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এই ধরনের একটি ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর রাজধানীর তুরাগ থানায় ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।

তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার (৩ নভেম্বর) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ঢাকা, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।