যশোরের অভয়নগরে রাশেদ হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: পুলিশ নিউজ

যশোরের অভয়নগরে রাশেদ হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পুলিশ জানায়, যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন গদখালী এলাকার ইজিবাইক চালক রাশেদ উদ্দিন (২৫) প্রতিদিনের মতো গত ০২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় রাশেদের মা রেহেনা খাতুন ছেলের মোবাইল নম্বরে রাত ৮টার দিকে কথা বলেন। এরপর থেকে রাশেদ উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরের দিন ৩ মার্চ বেলা ১১টার দিকে রাশেদের বাবা জসিম উদ্দিন ঝিকরগাছা থানায় নিখোঁজ জিডি করার জন্য গিয়ে জানতে পারেন, অভয়নগর থানায় একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

এর ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিম উদ্দিন ছেলের মরদেহ শনাক্ত করলে অভয়নগর থানা-পুলিশ সুরতহাল প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জসিম উদ্দিনের ধারণা, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রাশেদ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে হত্যা করে তাঁর কাছে থাকা ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পিবিআই যশোর ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর পিবিআইয়ের চৌকস দল ৪ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামি যশোরের ঝিকরগাছা থানার পারবাজারের জান্নাত আক্তার ওরফে আয়েশা (২২) এবং কৃষ্ণনগর গ্রামের মিজান ড্রাইভারের ভাড়া বাসা থেকে মেহেদী হাসান ওরফে মিলনকে (২৩) কোতোয়ালি থানাধীন মুড়লী মোড় বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে।

অপর আসামি রিমন বিশ্বাস ওরফে বাবুকে (২২) যশোর জেলা ডিবির একটি টিম ৪ মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিরা রাশেদ হত্যায় জড়িত বলে স্বীকার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিন আসামি সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাঁরা যশোর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ইজিবাইক ও ভ্যান ছিনতাই করে পরস্পর যোগসাজশে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। তাঁরা পরিকল্পনা করে ইজিবাইকে চড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন রাশেদকে।