পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের পর মোনাজাত করা হচ্ছে। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উদ্বোধন করা হয়েছে এই পুলিশ ফাঁড়ির। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম ফাঁড়িটি উদ্বোধন করেন। সেমিপাকা ভবনে ৫টি রুমে আবাসন, অস্ত্রাগারসহ নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা করতে বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ির চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। খবর জাগো নিউজের।

এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, উখিয়া-টেকনাফ সড়কটি পাহাড় ও সমতলবেষ্টিত। উখিয়া থানা থেকে বালুখালী ও টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত অনেক দূরের পথ। মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় বালুখালী এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যাও অধিক। এখানে কোনো ইন্সিডেন্ট ঘটলে থানা থেকে পুলিশ পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ও রোহিঙ্গাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিক পথচলা নিশ্চিত হওয়ায় আশপাশের লোকজন সহজে পুলিশিং সেবা পাবেন। সীমান্ত ইউনিয়ন হিসেবে মাদক ও চোরাচালান বন্ধসহ শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন। করা যাবে নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যও।

পালংখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল কাদের ভুট্টাে বলেন, সীমান্তের এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পালংখালী ইউনিয়নে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হোক। আজ জেলার এসপির মাধ্যমে বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ির যাত্রা শুরু হলো।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, পালংখালী সীমান্ত ও ইউনিয়নের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, এ ফাঁড়ি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিকনির্দেশনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বালুখালীতে পুলিশ ফাঁড়িটা নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। আশা করি, সবার সহযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা সফলকাম হবে।