রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতে যাত্রীদের হয়রানি রোধে বাসের চালক ও চালকের সহযোগীদের বিশেষ পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে। এই বিশেষ পোশাক তাঁদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেবে। কারণ, এই বিশেষ পোশাকে থাকবে চালকের নাম, নম্বর ও পরিবহনের নাম।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট ) ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উদ্যোগে বিকাশ পরিবহন ও মেট্রো সার্ভিস পরিবহনের চালক ও হেল্পারদের মধ্যে বিশেষ পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে। খবর ডিএমপি নিউজের।
পোশাক সরবরাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহা. মেহেদী হাসান। এ সময় বিকাশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব হোসেন, চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ও মিরপুর মেট্রো সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. দিদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিভিন্ন পরিবহনের বাসের চালক ও হেল্পার, সাধারণ যাত্রীবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন বলেন, গণপরিবহন ঢাকা শহরের মানুষের চলাচলের অন্যতম বাহন। অধিকাংশ মানুষ এই গণপরিবহনে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। কিন্তু ইদানীং বাসের চালক ও চালকের সহযোগীদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে বাসের নারী যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসের মধ্যে ধর্ষণ, শারীরিক হেনস্তাসহ অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে বাসের চালক ও চালকের সহযোগীদের বিশেষ পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে। পরনে পোশাক থাকলে চালকের নাম, নাম্বার ও কোন পরিবহনের চালক বা সহকারী, সেটা যাত্রীরা দেখতে পারবেন। কোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কাজ করতে গেলে ধরা পড়ে যাবে, এই ভয় থেকে অনেকেই অপরাধ থেকে দূরে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, পোশাক এমন একটি জিনিস, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখে। পোশাকে নিজ নিজ পরিবহনের ও নিজের নাম লেখাসহ একটি সিরিয়াল নম্বর দেওয়া থাকবে। এই নম্বরে তাঁর পুরো ঠিকানাসহ এনআইডি কার্ড, জন্মসনদ পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর যুক্ত থাকবে। আর পরিবহনমালিক তাঁদের ডেটাবেইসে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখবেন। এতে করে বাসে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ জানা মাত্রই খুব অল্প সময়ে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারবে।
সব গণপরিবহনের চালক ও কর্মীদের বিশেষ পোশাকের আওতায় আনতে পারলে এই কার্যক্রম আরও সফল হবে যোগ করেন তিনি।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, বিকাশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মিরপুর মেট্রো সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বক্তব্য দেন।
