কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) ও বেলন দের (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জনে। খবর বাংলাদেশ জার্নালের।

ভৈরব নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল (৫) এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কাজ চলছে।

এর আগে গতকাল রোববার বেলা তিনটার দিকে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (২০), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২৩ মার্চ দুপুরের দিকে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও টুটন দের মেয়ে আরাধ্যর (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

একই ঘটনায় ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (৩২) নামের এক নারী ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।