গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি : সমকাল

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অনুদান দেওয়ার কথা বলে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর সমকালের।

গত ৬ মাসে চক্রটি ৯টি বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—শরিফুল সিকদার, রেজাউল করিম চৌধুরী, রিপন চৌধুরী, তাফসীর চৌধুরী ও আহসান মাতুব্বর।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্রতারণার কাজে গ্রেপ্তারকৃতদের দায়িত্ব ভাগ করা থাকত। কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে অনুদান পাওয়া সরকারি চাকরীজীবীদের তালিকা ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করতেন তাফসীর চৌধুরী। সেই তথ্য রিপন চৌধুরীর কাছে তুলে দিতেন তিনি। রিপন সেগুলো হস্তান্তর করতেন রেজাউল করিম ও শরিফুল সিকদারের কাছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, এ দুজন নিজেদের কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে তালিকায় থাকা সরকারি চাকরিজীবীদের ফোন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলে ভিসা কিংবা মাস্টার কার্ডের নম্বর ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ নিতেন। এরপর ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনে যাওয়া ওটিপি নম্বর চেয়ে নিয়ে কার্ড থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করতেন চক্রটি। পরে ওই টাকা আহসান মাতুব্বর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোবাইল ব্যাংকিয়ের এজেন্ট থেকে তুলে নিয়ে রেজাউল ও শরিফুলকে দিতেন।

সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগী রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ছাড়া একাধিক ভুক্তভোগী ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমে অভিযোগ করেন।

জিডি ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি ৩ থেকে ৪ বছর ধরে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত।