ফাইল ছবি

প্রবাসীকর্মীদের একটি বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার প্রবাসীকর্মী ও যাত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গেছেন।

নির্ভরযোগ্য একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ইউএইগামী যাত্রীদের ৯৪ শতাংশই প্রবাসীকর্মী। অবশিষ্ট মাত্র ৬ শতাংশ যাত্রী ট্যুরিস্ট বা ব্যবসায়িক ভিসায় যাচ্ছেন। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইউএইগামী সব প্রবাসীকর্মীকে বিনা মূল্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠানের টাকা পরিশোধ করছে। খবর জাগো নিউজের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউএইগামী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সর্বমোট ২ হাজার ১৯৩ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২ জন প্রবাসীকর্মী/যাত্রীর ৪৮ ঘণ্টা আগে করা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও বিমানবন্দরে করা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসায় ইউএই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা যেতে পারেননি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ইউএই রুটের ফ্লাইটে প্রতিদিনই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে প্রতিদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা, এমিরেটসসহ ৭-৮টি ফ্লাইট যাত্রী পরিবহন করছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি ফ্লাইট শুরু হবে।
সূত্র জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত গত ১৩ দিনে সর্বমোট ১৭ হাজার ৯১১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুর দিকে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ছয় ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষার জন্য ১০-১২ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে প্রবেশ করায় নমুনা পরীক্ষা করা নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ছয় প্রতিষ্ঠানকে ফ্লাইট অনুসারে নমুনা পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়ায় বর্তমানে নিয়মতান্ত্রিক ও সুষ্ঠুভাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে যেসব প্রতিষ্ঠান ইউএইগামী যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করছে, সেগুলো হলো স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএইগামী মোট যাত্রীদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই প্রবাসীকর্মী। তাঁদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।