জব্দ করা পুলিশের পোশাকসহ বিভিন্ন উপকরণ। ছবি : ডিএমপি নিউজ

রাজধানীতে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তাঁর নাম জিল্লুর রহমান জেলিন।

আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মোহাম্মদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। খবর ডিএমপি নিউজের।

গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমানের সার্বিক তদারকিতে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্লাহর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের র‍্যাংক ব্যাজ, পুলিশের লোগো ও মনোগ্রাম-সংবলিত নেভি ব্লু রঙের একটি পুলিশের হাফহাতা শার্ট, নেভি ব্লু রঙের পুলিশের ফুল প্যান্ট, পুলিশের মনোগ্রাম-সংবলিত চামড়ার বেল্ট, কালো রঙের টিউনিক ক্যাপ একটি, জিল্লুর নামীয় একটি নেমপ্লেট, একটি পুলিশ সার্ভিস টাই, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার প্রশিক্ষণ শিডিউল ২ পাতা ও দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রতারক জিল্লুর অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে মো. শহীদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়।

তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত শুরু করে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে প্রতারক জিল্লুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জিল্লুর ১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তিনি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে পরিচয় দিতেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্রতারক জিল্লু নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিলেও তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া র‍্যাংক ব্যাজ ছিল এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার। তিনি নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। জিল্লুর নিজেকে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।