গত ০৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. সন্ধ্যা অনুমানিক ০৬.৩০ ঘটিকার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সোনাইচন্ডি হাটে মহিষ বিক্রি শেষে অন্যান্য মহিষ ব্যবসায়ীসহ মোট ০৯ জন ভটভটিযোগে বাড়ী ফেরার পথে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানাধীন মাইপুর খাড়ি সংলগ্ন ব্রীজের পাশে রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জনের একটি ডাকাতদল ২/৩ টি মাঝারি আমগাছ কেটে রাস্তায় ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভটভটি যাত্রীদের নামিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাদের নিকট থেকে সর্বমোট ৫,৬৬,৮০০/-(পাঁচ লক্ষ ছিষট্টি হাজার আটশত) টাকা লুন্ঠন করে নেয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত ৮ ডাকাত জব্বার, রুবেল, রাকিব, রশিদুল, আঃ বারিক, নুরুজ্জামান, আলম ও সাইফুলকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতারপূর্বক আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়।
জানা যায় যে, উক্ত ডাকাতির পর থেকেই আসামী শ্রী বিকাশ পাহান, পিতা-বিদেশ পাহান, সাং-পরানপুর (বড়াইল) ও আসামি জয় কুমার(২৬)পিতা- ইন্দ্র বর্মন,সাং- দামপুরা (রাজবংশী পাড়া), উভয় থানা-নিয়ামতপুর, জেলা-নওগাঁ দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।
নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ডাকাত গ্রেফতারে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সাপাহার-নিয়ামতপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক দল সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। আসামীদ্বয় প্রাথমিকভাবে অত্র মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য যে, ডাকাত বিকাশ পাহানের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় ০৬টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৬.২০ ঘটিকার সময় আত্রাই থানাধীন দাড়িয়াগাঁথী গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রী নান্টু কুমার আত্রাই নতুন বাজারে অবস্থিত তার রিংকু জুয়েলার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে ১৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পাশে মালাধর ব্রিজের ওপর পৌঁছামাত্র পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে আগত ৫ জন ডাকাত তার মাথায় আঘাত করে এবং মোটরসাইকেল দিয়ে পথরোধ করে তার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন নান্টুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় আত্রাই থানায় একটি ডাকাতি মামলার রুজু হয়। ঐ মামলার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি আহসান রাজ(২২)কে মান্দা থানার ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করে। আসামী আহসান রাজের বিরুদ্ধে নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
অপর একটি অভিযানে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ কর্তৃক চুরি ডাকাতিসহ ৬ টি মামলার আসামি ডাকাত আসলাম হোসেন(৬৩), পিতা- মৃত সেলিম উদ্দিন, গ্রাম- বরুনকান্দি, থানা- নওগাঁ সদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও একটি অভিযানে নওগাঁ জেলার ডিবি পুলিশ মান্দা থানাধীন দেলুয়াবাড়ী বাজারের জগিমন্ডবের সামনে হতে গতকাল মাদক বিক্রেতা মেহেদী হাসান পাইলট (৩১), পিতা-মোঃ আব্দুল মজিদ, সাং-দেলুয়াবাড়ী, থানা-মান্দাকে ২০ (বিশ)গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে মান্দা থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।