জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম এ তথ্য জানান।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির ৫০০টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপির ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল দলের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি এবং র‍্যাবের ১০টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। এ ছাড়া ডিএমপির চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৯ জন ডাকাত, ২৮ জন পেশাদার ছিনতাইকারী, ছয়জন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ১৯ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ৪৫ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে একটি রামদা, চারটি চাকু, দুটি সামুরাই, একটি কাটিং প্লায়ার্স, দুটি ছুরি, একটি শাবল, দুটি রড, সাংবাদিকতার দুটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুটি মোটরসাইকেল, দুই কেজি ৯০০ গ্রাম তামার তার, ১৭টি চাবি, একটি সুইচ, তিনটি দড়ি, পাঁচটি মোবাইল, ১২টি বিদেশি নোট, একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি ওভেন, একটি ফ্রিজ, দুটি ব্লেনডার, দুটি সাব-মেশিন, একটি জুস সিল মেশিন, একটি সাউন্ড বক্স, ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ টাকা, ১০ হাজার ৩০২টি ইয়াবা, ১ কেজি ১৪০ গ্রাম গাঁজা, দুই ক্যান বিয়ার এবং দুই বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। ডিএমপির বিভিন্ন থানায় এ সংক্রান্ত ৬৮টি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।