বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন। তাই ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে গাড়ি পার্কিং ও ডাইভারশন সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত তথ্য:

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসা গাড়ি ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠ; সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা গাড়ি উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠ; রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আসা গাড়ি ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পাশ, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে এবং বউবাজার মাঠ; বরিশাল বিভাগের গাড়ি ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন; ঢাকা মহানগরীর গাড়ি ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করতে হবে।

ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য :

ডাইভারশন পয়েন্টগুলো শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হবে। ডাইভারশন স্থানগুলো হলো ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়।

বিশেষ নির্দেশনা :

আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে রেডিসন ব্লু থেকে খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর হয়ে কামারপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কটি পরিহার করে চলাচলের জন্য যানবাহনের চালকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক (ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক) পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

একইভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আগত যানবাহন কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহন রেডিসন-ব্লু দিয়ে ইউটার্ন করে অথবা কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে চলাচল করবে।

আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী-মহাখালী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাঁরা তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

আখেরি মোনাজাতের দিন বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য পদ্মা ইউলুপ থেকে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন (ফ্রি) সেবা দেওয়া হবে।

নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়িচালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রী ও চালক পরস্পরকে মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

মুসল্লিবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সব যানবাহন চালকদের আজমপুর থেকে ফ্লাইওভার ব্যবহারের অনুরোধ করা হলো।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।

খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।