প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি টাকার চারটি গাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চারটি গাড়ি।
গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জারাক আহমেদ (৩৮), আবুল কালাম রিফতিয়ার (৩৮), মো. জামির হোসেন (৩৬), মো. সজল আহম্মেদ (৩০) ও আব্দুর রহমান রুবেল (৫৬)।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মো. ইমদাদুল হক খান ওরফে নওশাদ (৪২) একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তেজগাঁওয়ে তাঁর একটি গাড়ির শো-রুম আছে। এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদ (৩৮) ও চেয়ারম্যান মো. জামির হোসেন (৩৬) গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে তিন কোটি টাকা দামের চারটি গাড়ি ভাটারা থানাধীন নর্দার প্রগতি সরণি এলাকায় এবি ড্রাইভ লিমিটেডের শো-রুমে নিয়ে যান।
পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করলে তাঁরা গাড়িগুলো ফেরত দেবেন না বলে জানান এবং ভয়ভীতি দেখান। ভুক্তভোগী ইমদাদুল খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁরা গাড়িগুলো প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করতে এবি ড্রাইভ লিমিটেডের শো-রুম থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি ইমদাদুল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে গুলশান লিংক রোড থেকে এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর থেকে অপর আসামি জামিরের সহযোগী রিফতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি রিফতিয়ারের দেওয়া তথ্যে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকা থেকে দুটি গাড়ি উদ্ধার এবং আসামি সজল ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় এলাকা থেকে আসামি সাইদুরকে গ্রেপ্তার এবং দুটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।