ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোটরসাইকেলচালক জুবায়েদ আহমেদ (৩১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানাধীন বাট্টাজোড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানা এলাকার মো. নাজমুল ইসলাম (৩০) এবং জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়া (৫৫) ও আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছ (২৪)।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে ত্রিশাল থানাধীন বৈলর ইউনিয়নের কামারপাড়া থেকে বকশীপাড়াগামী সড়কের পাশের একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম জুবায়েদ আহমেদ, বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা এলাকায়। খবর পেয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর ভাই।
তিনি জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার জামালপুরের বকশীগঞ্জ থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল। আসামিদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার জানান, আসামি নাজমুলের বাড়ি ত্রিশালের বৈলরে। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে ওয়েলডিংয়ের কাজ করেন। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে ময়মনসিংহ শহরে যাওয়ার উদ্দেশে টঙ্গী থেকে ভুক্তভোগী জুবায়েদের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। বৈলরে পৌঁছার পর নাজমুল পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে জুবায়েদকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এক পর্যায়ে জুবায়েদের গলায় থাকা চাদর দিয়ে ফাঁস দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন নাজমুল।
তিনি আরও জানান, জুবায়েদের ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান নাজমুল। পরে ফোনটি ধানিখোলা বাজারে এক মোবাইল ব্যবসায়ীর কাছে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন এবং মোটরসাইকেল নিয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানাধীন বাট্টাজোড় এলাকায় আত্মগোপন করেন নাজমুল। দিন দুয়েক পর মোটরসাইকেলটি আসামি সোনা মিয়ার কাছে বিক্রি করেন তিনি। আর মোটরসাইকেলটি নিজের হেফাজতে রাখেন অপর আসামি আজিজ।