পাবনার চাটমোহর থানাধীন চরমথুরাপুর গ্রামের শিশু কল্পনা খাতুন (৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) চাটমোহর থানাধীন চরমথুরাপুর গ্রাম থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রেজিনূর রহমান জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে মথুরাপুর সেতু এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় কল্পনা। পরের দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কল্পনার মা চাটমোহর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ১৩ ডিসেম্বর দহপাড়া খানকা শরীফে ইসলামী জলসা ছিল। রাত সাড়ে ৭টায় আসামি গাঁজা সেবনের পর বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে শিশু কল্পনাকে বসে থাকতে দেখে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আসামি। কিন্তু বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে পৈলানপুর গ্রামে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসামি। পরে শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। এরপর ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে শিশুটির পরনের পাজামা খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চলে যায় আসামি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।