
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্যদের জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার।
কেএমপি কমিশনার বলেন, যাঁরা আহত ও শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা যেন ভুলে না যাই। জুলাই বিপ্লবে তাঁদের অবদান এমন একটি ইতিহাস, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুপ্রেরণা জোগাবে। গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন দেয়ালে অঙ্কিত গ্রাফিতি যেন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিবাদের অমর উপাখ্যান। এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আমরা সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হয়েছি।
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ শিক্ষার্থীদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চাকরিতে যোগদানের অনুরোধ জানান কেএমপি কমিশনার। পুলিশকে যেন আর রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে জনপ্রত্যাশা পূরণের বাহিনীতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান মীর স্নিগ্ধ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক পিপিএম, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশারফ হোসেন, ছাত্র সমন্বয়ক, খুলনার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।