যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গোবিন্দপুরে জহিরুল ইসলাম (৫২) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে মণিরামপুর থানাধীন শ্যামনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন যশোরের মণিরামপুর থানা এলাকার মো. সফিকুল ইসলাম (৪৩) ও মো. মামুন হোসেন (২৩)। অপর আসামি মর্জিনা বেগমকে (৩৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
যশোরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগী জহিরুল মণিরামপুর থানাধীন কোনাকোলা বাজারে ব্যবসা করেন। গত ১১ ডিসেম্বর সকালে মণিরামপুর থানাধীন বাটবিলা এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী। তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শ্যামনগর গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, আসামি মর্জিনার সঙ্গে আসামি সফিকুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পরে ভুক্তভোগী জহিরুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মর্জিনা। বিষয়টি জানতে পেরে মর্জিনার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করেন সফিকুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সফিকুল। গত ১০ ডিসেম্বর রাতে কোনাকোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জহিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন সফিকুল ও তাঁর সহযোগী মামুন।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মর্জিনাকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।