পুলিশি হেফাজতে আসামিরা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ব্যবসায়ী মো. নূর আলম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কামরাঙ্গীরচর থানার সদস্যরা।

গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কামরাঙ্গীরচর থানাধীন হাসান নগর ও ঝাউরাহাটি এবং কোতোয়ালি থানাধীন সদরঘাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মিরাজ মিয়া (২০), মো. শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও মো. রিফাত (১৯)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, একটি কাঁচি ও দুটি চাকু জব্দ করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানাধীন হাসান নগর এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা করে আসছেন। গত ৬ ডিসেম্বর ভোরে দোকান থেকে স্ত্রীকে ফোন করেন তিনি। এ সময় ফোনে বাগবিতণ্ডার শব্দ শুনতে পান তাঁর স্ত্রী। এরপর থেকে নূর আলমের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি পুলিশকে জানায় তাঁর পরিবার।

খবর পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার নূর আলমের কারখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাত এবং সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, গত ৬ ডিসেম্বর ভোরের দিকে শিপন, মিরাজ, রিফাত ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন নূর আলমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর লাশ দুই খণ্ড করে কারখানার ভেতরে মাটিচাপা দেন তাঁরা। পরে জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেন।

কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ জানায়, আসামিদের দেওয়া তথ্যে কারখানার মেঝের ঢালাই ভেঙ্গে নূর আলমের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।