রাজধানীতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চিকিৎসক ডা. এ কে এম আব্দুর রশিদ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ডিএমপির হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) খুলনার ডুমুরিয়া ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. নাইম খান (২২), মো. জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওন (২২)।
হাজারীবাগ থানা-পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী এ কে এম আব্দুর রশিদ অধিকাংশ সময় যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। মাঝে মাঝে দেশে আসতেন। গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন পশ্চিম ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের বাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। দিবাগত রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসক রশিদের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তাঁরা। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে নাইম ও রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাওনকে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ভুক্তভোগী চিকিৎসকের বাসার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন নাইম ও জাহিদুর। বাসার ভাড়া নিয়ে প্রায়ই ভুক্তভোগীর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগবিতণ্ডা হতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে লুটপাট করে সেই টাকা দিয়ে রেস্তোরাঁ ব্যবসার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর অপর আসামি শাওনকে নিয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন নাঈম ও জাহিদুর। তবে টের পেয়ে যান চিকিৎসক রশিদ। এ সময় তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আসামিরা।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।