
বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান ও কিরাত প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর সার্টিফিকেট বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম এবং আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার (ইকরা) সভাপতি কারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম বলেন, কোরআন শিক্ষার এই আয়োজন একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আপনারা যাঁরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ ইউনিটে গিয়ে সহকর্মীদের কোরআন শরীফ সঠিকভাবে তিলাওয়াত শেখাবেন। মনে রাখবেন, জ্ঞান এমন জিনিস যা বিতরণ করলে কমে না বরং বাড়ে। এ ছাড়া আপনারা আজান ও কিরাতবিষয়ক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
ইকরার সভাপতি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য হলো সঠিকভাবে কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করা। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে যাঁরা কোরআন শরীফ সঠিকভাবে তিলাওয়াত শেখানোর এত সুন্দর আয়োজন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সেবা করছে, এ সেবা যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে, এই দোয়া করছি।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ৭ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইকরা)। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ইকরার সভাপতি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারীসহ ইকরার প্রশিক্ষকবৃন্দ। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক সহাযোগিতায় ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগ।
সার্টিফিকেট বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, ইকরার প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে প্রতি বছর আজান ও কিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা যাতে জাতীয় পর্যায়ে অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও ভালো করতে পারেন, সে জন্য বিজয়ীদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের আজান ও কিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ১৬ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে নিয়ে পাঁচ সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।