যশোরের খোলাডাঙ্গায় জামায়াত ইসলামীর নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে যশোর সদর থানাধীন খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে একটি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বার্মিজ চাকু ও একটি মোবাইল ফোন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকার সাদমান রহমান সাকিন (১৯), মো. আল আমিন হোসেন (১৮), রায়হান আহমেদ (২১), আব্দুর রহমান সাগর (২১) ও রিয়াদ হাসান (২১)।
যশোরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত ৪ নভেম্বর রাতে যশোরের খোলাডাঙ্গায় জামায়াত নেতা সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে গত বুধবার রাতে খোলাডাঙ্গা গাজিরহাট বাজার থেকে সাকিন ও আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া আসামিদের কাছ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, ফুটেজটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি লাবিব ও গ্রেপ্তার আসামি সাকিনসহ চার-পাঁচজন একটি মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ভিডিও ও সাকিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রায়হান, সাগর ও রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রায়হানের বাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাবিবের বাড়ি থেকে একটি চাকু জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন আল-আমিন ও সাকিন। একই সঙ্গে জড়িত ১৩-১৪ জনের নাম প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির স্বজনের পথরোধ করে তল্লাশি করেন আসামি স্মরণ ও রবিন। এ ঘটনায় আসামি স্মরণ, লাবিব ও রবিনকে মারধর করেন জামায়াত নেতা সজল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৪ নভেম্বর রাতে সজলকে ২১ বার ছুরিকাঘাত করেন আসামিরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।