পুলিশি হেফাজতে আসামিরা এবং উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাহাড়তলী থানা থেকে লুণ্ঠিত পিস্তল, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) নগরীর পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. মাহাবুর রহমান (২৭) ও তাঁর সহযোগী নুর নবী (২৫)।

সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুইয়া জানান, সোমবার ভোরে পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় থেকে আসামি মাহাবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িত থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর সহযোগী নুরের নাম প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, মাহাবুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়তলী থানাধীন কর্নেল জোন্স রোডে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে পুলিশের একসেট ইউনিফর্ম, দুটি হাতঘড়ি, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একজোড়া কেডস ও সিভিল জুতা, পুলিশের লোগোযুক্ত একটি ছাতা, একটি ট্রাউজার, একটি ইলেকট্রিক কেটলি, একটি ট্রিমার, দুটি চশমা ও একটি রেইনকোট উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুর আরও জানান, পাহাড়তলী থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পাহাড়তলী থানাধীন বিটাক বাজার কলেজ রোডসংলগ্ন পুকুরে এবং কয়েকটি সরকারি ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাফ অন্যত্র ফেলে দেন তিনি। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে দুটি পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরে আকবরশাহ থানাধীন রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটিতে অভিযান চালিয়ে আসামি নুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকবরশাহ থানাধীন ফারুক চৌধুরীর মাঠের পশ্চিম পাশের ইস্পাহানি পাহাড়ের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।