এক চাকরিপ্রত্যাশী নারীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাষানটেক থানা-পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা।
গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ভাষানটেক থানা এলাকার একটি বাসা থেকে আসামি মো. জাহিদ হাসান (২৪) ও সাজেদা বেগমকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
ভাষানটেক থানা-পুলিশ জানায়, গত সেপ্টেম্বরে মোছা. নাইমা (২৬) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে ভুক্তভোগী মাকসুদার (২৭) পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে ভাষানটেকের এক্সট্রিম প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেন নাইমা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ অক্টোবর রাতে ভাষানটেকের মজুমদার মোড়ে আসেন মাকসুদা। সেখান থেকে কোম্পানির এমডির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলে মাকসুদাকে একটি বাসায় নিয়ে যান নাইমা। এরপর কয়েকজন লোক এসে মাকসুদাকে আটকে রেখে মারধর এবং তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৮ হাজার টাকা তুলে নেন।
এরপর মাকসুদাকে পুনরায় মারধর করে আরও টাকা দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা মাকসুদার বাসার চাবি নিয়ে সেখান থেকে একটি স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলেট, হীরার আংটি ও সাড়ে ৭ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। পরে আরও টাকার জন্য মাকসুদার স্বজনদের ফোন করে চাপ দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি ভাষানটেক থানা-পুলিশকে জানান তাঁর স্বজনরা। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওই বাসা থেকে মাকসুদাকে উদ্ধার এবং আসামি জাহিদ ও সাজেদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৪ লাখ টাকা।
ভাষানটেক থানা-পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রতারক চক্রের সদস্য। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে চক্রটি। এই চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।