নড়াইলের লোহাগড়ায় বাবুর্চি আজমাল ফারাজী হত্যা মামলার পলাতক আসামি মশিয়ার শেখকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।
গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে খুলনা নগরীর ডাকবাংলোর মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি মশিয়ারের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া থানা এলাকায়।
পিবিআই যশোরের ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম জানান, বাবুর্চি আজমালের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া থানা এলাকায়। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি বালুর ভলগেটে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। একই বছরের ১৯ জানুয়ারি মিল্টন শেখ নামের এক ব্যক্তি আজমালের পরিবারকে জানান, হৃদরোগে আজমালের মৃত্যু হয়েছে। ওই রাতে আজমালের মরদেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান মিল্টন। তবে গোসল করানোর সময় আজমালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়ইল সদর থাসপাতালে পাঠায় লোহাগড়া থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে দুই আসামির নাম বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। বাদীপক্ষ নারাজি আবেদন করলে আদালত পিবিআই যশোরকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তের এক পর্যায়ে খুলনা নগরী থেকে আসামি মশিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন সাহাবাজপুর গ্রামে আজমালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং রড ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর আসামি মশিয়ার ৩ বছর ৯ মাস পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।