বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে তৈরি জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোববার (১৩ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর)
ইনামুল হক সাগর পিপিএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করা হামলাকারী, ইন্ধনদাতা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা হয়েছে। এমন জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে চলতি অক্টোবর মাসেই ৩ হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে তৎকালীন সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায়ের ৭৪ জন নেতা রয়েছেন।

এ ছাড়া বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যাঁরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে আইনি পদক্ষেপ।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও জনসাধারণের এ ক্ষেত্রে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পুলিশের সেবা হবে হয়রানিমুক্ত, জনবান্ধব। কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়, তা বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করবে।

বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং মানুষের সব অধিকার নিশ্চিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক যুগান্তকারী মাইলফলক, যা সবার জন্য অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এ অগ্রযাত্রায় ছাত্র-জনতা ও জনসাধারণের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ নিত্যসারথী হয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।