বাঘারপাড়ায় পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এক আসামি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাঘারপাড়া থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন ইশিতা আক্তার ঋতু (১৯ ) এবং তাঁর বাবা মো. তহিদুর রহমান (৫৫) ও মা নিরু বেগম (৪২)।
পিবিআই যশোরের ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম জানান, গত ২১ জুলাই বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। তবে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদেনে দেখা যায়, শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে রোববার নিজ বাড়ি থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ইশিতা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। গত ২০ জুলাই সকালে ইশিতাদের বাড়িতে আসে শিশুটি। এ সময় তাকে যৌন নিপীড়ন করেন ইশিতা। চিৎকার করলে শিশুটিকে মারধর করেন তিনি। এক পর্যায়ে শাবল দিয়ে শিশুটির মাথায় আঘাত করেন এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইশিতার মা ও বাবা ২০ জুলাই দিবাগত রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম।