পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

গান গেয়ে গেয়ে মো. শাহাদাত হোসেন (২৪) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী ওরফে জুয়েল (৪২) ও আনিসুর রহমান ইফাত (১৯)। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জাহাঙ্গীর জানান, গত ১৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ২ নম্বর গেইটে ছিনতাইকারী সন্দেহে ট্রাফিক পোস্টের খুঁটিতে শাহাদাতকে বাঁধা হয়। এ সময় গান গেয়ে গেয়ে তাঁকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রাতের আঁধারে লাশ পাঁচলাইশ থানাধীন বদনাশাহ মাজারসংলগ্ন রাস্তার সামনে ফেলে দেওয়া হয়। পরের দিন ১৪ আগস্ট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন শাহাদাতের পরিবারের লোকজন।

তিনি জানান, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ গত ২১ আগস্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওর সূত্র এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম ছাত্র জনতা ট্রাফিক গ্রুপ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে শনাক্ত করা হয় হত্যাকাণ্ডের হোতা ফরহাদকে। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে ২ নম্বর গেইটসংলগ্ন বিপ্লব উদ্যান এলাকা থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া এক কিশোরকে (১৬) চকবাজার থানাধীন শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি আনিসুরকে ২ নম্বর গেইটসংলগ্ন মসজিদ গলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আসামিরা। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।