পুলিশি হেফাজতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মজনু। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মজনুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা-পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পেছনের রেললাইন থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। এ ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় তাঁর নামে আরও একটি মামলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। পরের দিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে।

ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন ভুক্তভোগী। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।