পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে গাজীপুর নগরীর কাশিমপুর থানাধীন মাধবপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন পিন্টু শেখ (৪০), মিন্টু শেখ (৫০) ও শরিফুল শেখ (৩৫)। তাঁদের বাড়ি লোহাগড়া থানাধীন মল্লিকপুর ইউনিয়নের চরমল্লিকপুর গ্রামে।

নড়াইলের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর জানান, লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের চরমল্লিকপুর গ্রামে বিএনপির দুটি গ্রুপ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাহমুদ খাঁ এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফেরদৌস শেখ। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর চরমল্লিকপুর গ্রামে দুপক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা-পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় দ্বন্দ্বে না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় দুপক্ষ।

তিনি জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে ফেরদৌসের পক্ষের মিরান শেখ (৪৮), জিয়ারুল শেখ (৪৫) ও ইরান শেখ (৪৩) কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সম্পর্কে তাঁরা আপন ভাই। কিন্তু আগে থেকেই রামদা, চাপাতি নিয়ে রাস্তায় ওঁত পেতে ছিলেন প্রতিপক্ষের ঝন্টু শেখ, হিরন মৃধা, ফারুক মৃধা, মো. মাহমুদ খাঁ, পিন্টু শেখ, মিন্টু শেখ, শরিফুল শেখ ও তাঁদের সহযোগীরা। এ সময় ওই তিন ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ভাইকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান ও জিয়ারুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ভুক্তভোগী ইরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে লোহাগড়া থানা-পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। তদন্তের এক পর্যায়ে শনিবার ভোরে গাজীপুর নগরী থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৩৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।