পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

যশোরের কেশবপুরে ইজিবাইকচালক সোহাগ হোসেন বায়জিদ (২৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আসামি মো. মনিরুল শেখকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আসামি।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যশোরের পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ জানান, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা সদর থানাধীন শিকড়ি এলাকা থেকে আসামি মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি কেশবপুর থানাধীন হাসানপুর দক্ষিণপাড়ায়।

পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগী সোহাগের বাড়ি কেশবপুর থানাধীন বুড়িহাটি গ্রামে। গত ৫ আগস্ট ভোরে হাসানপুর থেকে সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে কথা বলে সোহাগের ইজিবাইক ভাড়া করেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। তবে কেশবপুর থানাধীন ধনপোতা এলাকায় পৌঁছামাত্রই সোহাগকে গলা কেটে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন যশোরের পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় গত ১৪ আগস্ট কেশবপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরে কেশবপুর থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্তকালে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। বুধবার সাতক্ষীরা সদর থানাধীন শিকড়ি এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, গত ৪ আগস্ট সোহাগের ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন মনির। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ আগস্ট ভোরের দিকে সোহাগকে ফোন করে তাঁর ইজিবাইক ভাড়া করেন। সকালের দিকে ইজিবাইকে চড়ে হাসানপুর থেকে সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারে উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। তবে ধনপোতা এলাকায় পৌঁছামাত্রই সোহাগকে গলা কেটে হত্যা করেন মনির। এরপর লাশ পুকুরে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার জানান, সাতক্ষীরা সদর থানাধীন শিকড়ি এলাকায় ইজিবাইকটি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন আসামি মনির। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।