
পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্রসহ যেকোনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে অভিযানে নামছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী।
যৌথবাহিনীর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণের জন্য ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান পিপিএম, এনডিসির সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসারের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট করা হয়।
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে।
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।