
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের (বিপিএম-বার, পিপিএম-বার) নির্দেশনায় যানজটকে সহনীয় মাত্রায় রেখে মহানগরবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাসের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ। খবর ডিএমপি নিউজের।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান (পিপিএম) জানান, ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের তিন জোনে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাসের বিশেষত সিটি বাস ও দূরপাল্লার বাসের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা, চারটি বাস ডাম্পিংয়ে প্রেরণ ও ২০টি গাড়ির বিরুদ্ধে রেকার বিল করা হয়। আদায়যোগ্য জরিমানার পরিমাণ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ট্রাফিক এয়ারপোর্ট জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক উত্তরা এয়ারপোর্ট জোন শাখাওয়াত হোসেন সেন্টুর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ১২টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, একটি গাড়ি ডাম্পিংয়ে প্রেরণ ও ১৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে রেকার বিল করা হয়। ট্রাফিক উত্তরা পূর্ব জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনার ইব্রাহীমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও ৩টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়।
এ ছাড়া ট্রাফিক উত্তরা পশ্চিম জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনার ফেরদৌস হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে ১৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন প্রদান ও ৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে রেকার বিল করা হয়।
কেন এ রকম সাঁড়াশি অভিযান এমন প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলাম। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগে প্রতি মাসেই বেশ ভালোসংখ্যক মামলা হওয়ার রেকর্ড আমাদের রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নিদর্শনা অনুযায়ী ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরালো করা হয়েছে। আমরা চাই না ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়কে চলুক। কোনো দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এই নিউজ দেখতে না হয় যে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ির ফিটনেস আপডেটেড ছিল না।